শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি:বড় বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়ে এবার ছোট বোনের দিকে নজর দিয়েছে একজন জনপ্রতিনিধি। অবশ্য তাকেও ধর্ষণ করেছে ওই জনপ্রতিনিধি। এরপর বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাকে নিয়ে ভারতে হানিমুনও করেছেন। তবে সেখানেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আর এই প্রতারণার বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারায় এখন তাদেরকে এলাকার ছাড়া করার মিশনে নেমেছেন ওই জনপ্রতিনিধি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ধর্ম্মাদি গ্রামের কালাম খলিফার মেয়ে। মেয়েরা সুন্দরী হওয়ায় তাদের প্রতি কু-নজর পড়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকনের। বড় মেয়ে সুমি’কে (ছদ্মনাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন দৈহিক মেলামেশা করে। এক পর্যায় সুমি তাকে বিয়ের কথা বললে নয়-ছয় করে সময় পার করে। উপায়ন্তু না পেয়ে যৌন পিপাসু খোকন চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের বরিশালের এক প্রভাবশালী (মন্ত্রী)’র মাধ্যমে ওই মেয়েকে পুলিশের চাকুরি দিয়ে সেযাত্রা রক্ষা পান। আর ধর্ষিতা ওই মেয়ে ও তার পরিবারও বেশি দূর এগোয়নি। কিন্তু নারী লোভী খোকন চেয়ারম্যান এবার ছোট বোন রিমা (ছদ্মনাম) এর প্রতি কু-দৃষ্টি দেয় এবং কৌশলে তাকেও ফাঁদে ফেলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
একাধিকবার দেহ ভোগ করেও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। মাস পাঁচেক পূর্বে ওই মেয়েকে নিয়ে ভারত হানিমুন করে আসেন খোকন চেয়ারম্যান। সেখানে বসে তাকে এশাধিকবার ধর্ষণ করে দেশে ফিরে বিয়ের আশ্বাসে। কিন্তু দেশে আসার পর সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে খোকন। উয়ায়ন্তু না পেয়ে মেয়ে রিমা তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে নারীলোভী খোকন চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ক্ষীপ্ত হন তিনি। উল্টো তাদেরকে গ্রাম ছাড়ার হুমকিও দেন। সর্বশেষ গত মে মাস রিমা ভাইয়ের ব্যবহৃত পালসার মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখায় খোকনের লোকজন।
এদিকে রিমা ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। তবে লোকলজ্জার ভয়ে রিমা বর্তমানে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় রিমার পরিবারের সাথে। যার অডিও-ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এ ব্যাপাওে রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর না দিয়ে, বলেন, বরিশাল সাবরেজিষ্ঠার অফিসে আপনার চা খাওয়ার দাওয়াত রইল।
Leave a Reply